অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রাজনৈতিক দল হিসেবে নতুন নিবন্ধন চাওয়া দলগুলোকে শতভাগ শর্ত পূরণ করতে হবে। নিবন্ধনে কোনো ডিসকাউন্ট দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
সোমবার (৫ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
ইতোমধ্যে নিবন্ধন প্রত্যাশী ১২ দলের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন। ঘোষিত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, চলতি মাসের মধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলোর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে ইসি।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘মাঠ কর্মকর্তাদের দলীয় কার্যালয় ও কমিটির বিষয়ে তথ্য পাঠাতে সোমবার পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। হয়ত আসতে আরও দু-একদিন সময় লাগবে।’
কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও কমিটির বিষয়ে ১২টি দলের তথ্যই কমিশন পেয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কিন্তু জেলার তথ্য পুরোপুরি পাইনি। কোনোটা ৭০ শতাংশ, কোনোটার ৫০ শতাংশ, কোনোটার ৪০ শতাংশ এসেছে। আর উপজেলার তথ্য ৪০ শতাংশ পর্যন্ত এসেছে। আগামী তিন-চারদিন পর যথাযথ তথ্যটা আমরা বলতে পারব কী পেয়েছি।’
প্রক্রিয়াটা আইনেই বলা আছে উল্লেখ করে এই কমিশনার বলেন, ‘মাঠের তথ্য আর আমাদের কাছে কাগজপত্র যা জমা দিয়েছে দলগুলো তা এ সংক্রান্ত কমিটি মিলিয়ে দেখবে। তারপর সেই কমিটি প্রতিবেদন কমিশনের কাছে উপস্থাপন করবেন। এরপর প্রাথমিক তালিকা আপত্তির জন্য প্রকাশ করা হবে। যে কেউ আপত্তি দিতে পারবে। আপত্তি এলে শুনানি হবে। না এলে শুনানি হবে না। এরপর চূড়ান্ত তালিকা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের টার্গেট জুনের মধ্যে নিবন্ধনের কাজ সম্পন্ন করা। কোনো কারণে আপত্তি শুনানিতে দেরি হলে এটা জুলাইতে যেতে পারে।’
দলের নিবন্ধন দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কোনো কোটা নেই জানিয়ে মো. আলমগীর বলেন, ‘তাই ১২টা কোয়ালিফাই করলে ১২টাই নিবন্ধন পাবে। একটা কোয়ালিফাই করলে একটাই পাবে। কোনোটাই কোয়ালিফাই না করলে কোনোটাই নিবন্ধন পাবে না।’
কোনো দলের যদি সব ঠিক থাকে, তবে কার্যালয় বা ব্যানার-বিলবোর্ড বড় দলগুলো ভেঙে ফেলেছে– এমন অভিযোগ করেছে নিবন্ধন প্রত্যাশী দলগুলো, সেক্ষেত্রে কী হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ওনারা যে কাগজপত্র দিয়েছেন তা মাঠে দেখা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তারা তদন্ত করেছেন। তখন তো সংশ্লিষ্ট দলের নেতারা বলেছেন যে, ভেঙে ফেলেছে। এক্ষেত্রে আগে যে ছিল তার কোনো ফটো দেখাতে হবে। প্রমাণ থাকতে হবে যে ছিল। প্রমাণের দায়িত্বও তো তার। অফিস করলে তো মিলাদ দেয়, সাংবাদিকদের দাওয়াত দেয়, সেগুলোর প্রমাণ দেখাবে।’
শতভাগ শর্ত পূরণ করলে নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞাপন দেবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই দলকে নিবন্ধন দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। কারো কোনো আপত্তি থাকলে নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে জানান। তখন আপত্তি জানালে শুনানি হবে। আমরা আবার যাচাই করব। অভিযোগ সঠিক না হলে পাবে। আর সঠিক হলে পাবে না। আর শর্ত পূরণ না করলে একটাও হবে না। ১২টা করলে ১২টাই হবে। করতে হবে তো হবেই। এখানে ডিসকাউন্ট নেই। শতভাগ শর্তই পূরণ করতে হবে।’
Leave a Reply